রমজান মাস আল্লাহ্ সুবাহানাহুয়াতা'লার তরফ থেকে মানুষের জন্য একটি বিশেষ রহমত। সিয়াম সাধানার মাধ্যমে আমাদের মালিকের সান্নিধ্য অর্জনের চমৎকার সুযোগের সাথে সাথে, আধুনিক বিজ্ঞান বলছে যে, আমরা স্বাস্থ্যগত ভাবেও বিশেষ উপকার পেতে পারি। পানাহার বন্ধ থাকে বিধায় এই মাসেই আমাদের দেহ অতিরিক্ত ইন্সুলিনের হাত থেকে একটা দীর্ঘ সময় মুক্ত থাকে। ইন্সুলিনাধিক্যজনিত বিষক্রিয়ার অসুখে (টাইপ ২ ডাইবেটিস, ফ্যাটি লিভার, স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনি রোগ ইত্যাদি) আক্রান্ত সকলের জন্য এই মাস সুস্বাস্থ্য ফিরে পাওয়ার একটি দারুণ সুযোগ।
সিয়াম সাধনায় আমরা সকলে যদি নিচের অতি সহজ নিয়মগুলো মেনে চলি, তাহলে সব থেকে বেশি ফল পাওয়া যাবে বলে EasyHealthEducation.com বিশ্বাস করে।
সেহরিঃ
মাছ, মাংশ, ডিম (কুসুম সহ), শসা, টমেটো এবং সবুজ শাকসবজি পেট ভরে খাব। মাছ ও মাংশের সাথে যে চর্বি থাকবে তা সেহরিতে নির্ভয়ে খাব। টক দই খেতে পারি। রান্নায় উদ্ভিজ্জ্য বীজ তেলের পরিবর্তে ঘি, মাখন, প্রাণীজ চর্বি, নারকেল বা পাম তেল ব্যবহার করব। খাবারে লবণ এতোটা নেব যেন তা সুস্বাদু হয়। ক্যালরি গণনা করব না।
ভাত, রুটি, আলু, ফল, কেক, বিস্কুট, চানাচুর, মুরি, সিঙ্গারা ইত্যাদি শর্করা সমৃদ্ধ খাবার সেহেরিতে খাওয়া থেকে বিরত থাকব।
ইফতারঃ
খেজুর দিয়ে বা অল্প সরবত দিয়ে ইফতার করে নামাজে যাব। ঈশা-র নামাজের আগেই ইফতারের ভাজা, ছোলা, মুরি, ফল ইত্যাদি স্বল্প পরিমাণে এবং সাথে রাতের খাবার খেয়ে নেব। শর্করা জাতীয় খাবার কমিয়ে মাছ, মাংশ, ডিম বেশি খাব। একটু পরপর পানি পান করব। এসময় চর্বি কমিয়ে খাব এবং বীজতেল ব্যবহার করব না। তারাবীহ নামাজ শেষে শর্করা জাতীয় খাবার না খেলে ঘুম ভালো হবে। তারপরে ঘুমিয়ে পড়ব।
সতর্কতাঃ
যারা টাইপ২ ডায়বেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য ঔষধ খাই বা ইনসুলিন গ্রহণ করি, চিকিৎসকের পরামর্শমত তাদের ঔষধ কমিয়ে নিতে হবে। এ বিষয়ে EasyHealthEducation.com এর সেবা নিতে পারেন আপনারা। দিনে কমপক্ষে দুই বেলা রক্তের চাপ এবং চিনির মাত্রা পরিমাপ করে চিকিৎসকে জানাতে হবে।