সহজ স্বাস্থ্য শিক্ষা 

সুস্বাস্থ্য আসলে খুব সহজ...

Want to learn about the metabolic approach to health? An excellent provider is Nutrition-Network.Org! 

Our Facilitator/Coach Md Shahadat Hossain would like to thank DietDoctor.com( https://www.dietDoctor.com ) for all their help. Shahadat learnt about the easy ways of fixing all these diseases that stem from Insulin Resistance reading the free articles published on their website.  DietDoctor's free CME course was a great resource to start learning about the science behind low carb diet. Later on, when Shahadat wanted to get a serious training on Low Carb Diet, it was DietDoctor that guided him to do the 'Advanced Ketogenic Nutrition Training' offered by the American Nutrition Association.  So, whatever help we offer to you today, DietDoctor.com has contributed to that. 

Thanks DietDoctor.com!  

"সহজ স্বাস্থ্য শিক্ষা" একটি প্রকল্প, যার মাধ্যেমে আমরা সুস্বাস্থ্য অর্জনের জন্যে কতগুলো অতি সহজ এবং সস্তা উপায় সম্পর্কে সাধারণকে শিক্ষা দিচ্ছি। 

এই প্রকল্পের উদ্যোক্তা ও পরিচালক মোঃ শাহাদাৎ হোসেন, যিনি আমেরিকান নিউট্রিশন এসোসিয়েশন থেকে 'এডভান্সড কিটোজেনিক নিউট্রিশন ট্রেনিং' নামের ৬ মাস মেয়াদি একটি ডিপ্লোমা কোর্স করেছেন, এই বিষয়ে অনেক দিন থেকে ব্যক্তিগতভাবে বিনামূল্যে প্রচারণা চালিয়ে এসেছেন। নিচের ঠিকানায় তার ইউটিউব ভিডিও গুলো দেখলে আপনারা কিছু ধারনা পাবেনঃ

শাহাদাৎ হোসেন এর ইউটিউব চ্যানেল এর জন্য এখানে ক্লিক করুন 

ক্যান্সার রোগীদের জন্য আমরা বিনামূল্যে তথ্যসেবা প্রদান করছি।
ক্যান্সার রোগীগন আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে, আমাদের পরিচালক অনলাইনে আপনার সাথে কথা বলে সহায়তা দেবেন। প্রচলিত চিকিৎসার পাশাপাশি আমাদের দেয়া তথ্য যদি আপনারা প্রয়োগ করতে পারেন, তাহলে উপকার হবে বলে বিজ্ঞান ইঙ্গিত দিচ্ছে। যোগাযোগের জন্য আপনাদের নাম, ঠিকানা এবং রোগের ইতিহাস লিখে info@easyhealtheducation.com ঠিকানায় পাঠিয়ে দিন। ইমেইলের বিষয় লিখবেন 'ক্যান্সার তথ্যসেবার আবেদন' 

স্বাস্থ্য নিয়ে আমাদের ভাবনার শেষ নেই। আমরা এমন একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি যখন আমাদের আশেপাশে তাকালেই আমরা দেখতে পাই অসুস্থ্য মানুষ। তাই স্বভাবতই ভাবনা হয়। আর সেখান থকেই শুরু হয় স্বাস্থ্য বিষয়ে আলোচনা যেখান থেকে আমরা নতুন তথ্য শিখি। 

দুঃখজনক ভাবে এই তথ্যগুলোর অনেক গুলোই আসলে একদম ভুল। কখনো কখনো আমাদের ডাক্তার বা পুষ্টিবিদগণও এমন ভুল প্রচার করে থাকেন। একারণে সাধারণ মানুষের ক্ষতি হয় বেশী কেননা সাধারণ মানুষ তাঁদের কথাকে বেশি নির্ভরযোগ্য মনে করেন। 

উদাহরণস্বরূপ ধরুন ২য় ধরনের ডায়বেটিস রোগের কথা। আমরা সবাই জানি যে এই রোগ একবার হলে আর কোনদিন সারে না। অথচ কথাটি কিন্তু একদম ভুল। ইংল্যান্ডের ডাক্তার ডাঃ ডেভিড আনউইন খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে কয়েকশত ২য় ধরনের ডায়বেটিক এবং ভীষণ রকম মোটা রোগীকে ডায়বেটিস এবং ওজন মুক্ত করেছেন। খাবার থেকে শর্করা জাতীয় খাদ্য কমিয়ে দিয়ে এবং ঘনঘন খাওয়া বন্ধ করে এখন তার রোগীদের ওজন স্বাভাবিক এবং কোন প্রকার ঔষধ ছাড়াই তাদের রক্তের চিনির মাত্রা স্বাভাবিক। 

উত্তরোত্তর গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে ২য় ধরনের ডায়বেটিস আসলে প্রধানত খাদ্যাভ্যাস জনিত রোগ। অতিরিক্ত শর্করা খাবার ঘনঘন খেতে থাকলে, যে কারোরি কয়েক বছরের মধ্যে ২য় ধরনের ডায়বেটিস হতে পারে। 

অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস থেকে দেহের মধ্যে 'ইনসুলিন বৈরিতা' বা ইনসুলিন রেসিস্ট্যান্স নামক একটি সমস্যা শুরু হয়। ফলে, দেহে ইনসুলিনের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা কমে যায় এবং কর্মক্ষমতার ঘাটতি মেটাতে  স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশী ইনসুলিন উৎপাদন হয়। ইনসুলিনের সঙ্কেতকে দেহের কোষগুলো অবজ্ঞা করে এমনভাবে যেন তারা ইনসুলিনের কথা শুনতেই পায়নি। অর্থাৎ রোগীর দেহে ইনসুলিন উৎপাদন হয়ে স্বাভাবিক মাত্রা থেকে অনেক বেশি কিন্তু তারপরেও রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এক কথায় দ্বিতীয় ধরনের ডায়বেটিস রোগের ক্ষেত্রে, দেহে ইনসুলিন ঘাটতি তো থাকেই না বরং আধিক্য থাকে! 

ইউনিভারসিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া (সানফ্রানসিসকো) এর প্রফেসর ডঃ রবার্ট লাস্টিগ এম ডি, পি এইচ ডি বলেন যে, এই ইনসুলিন বৈরিতা থেকেই ওজন বেড়ে যাওয়া, ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ত্বকের রোগ, লিভারের রোগ, চোখের রোগ, কিডনি রোগ, মস্তিষ্কের রোগ এবং এমনকি ক্যান্সার রোগও হতে পারে। সে কারণেই, অনেক পরিশ্রম করে এবং ইনসুলিন ইনজেকশন নিয়ে রক্তের চিনির মাত্রা স্বাভাবিক রাখার পরেও রোগী হৃদরোগে ভোগেন বা কিডনি রোগে ভোগেন।

সমাধানের জন্য ডাঃ ডেভিড আনউইন বললেন যে, কিছুদিন যদি আমরা দেহের ইনসুলিন কে সর্বক্ষণ বেড়ে থাকা থেকে ফিরিয়ে রাখতে পারি, তাহলে এই সমস্যা খুব অল্প সময়ে ভাল হয়ে যায়। সেটা কি করে করা যায়? খুব সোজা! শুধু বুঝতে হবে ইনসুলিন কখন নিঃসরিত হয়। 

আমাদের দেহে ইনসুলিন হরমোন বাড়ে
১) যখনি আমরা কিছু খাই (একদম শুধু চর্বি যেমন ঘি খাওয়া ছাড়া) এবং
২) যখনি এমন খাবার খাই যা আমাদের রক্তের চিনির মাত্রা বাড়ায়। 

তাহলে যদি আমরা শর্করা জাতীয় খাবার গুলো খাওয়া বন্ধ করি অথবা ভীষণভাবে কমিয়ে দেই এবং ঘন ঘন না খাই, তাহলে দেহ ইনসুলিন সংবেদনশীল হয়ে ওঠে এবং আবারও পূর্বের মত সামান্য ইনসুলিন বেড়িয়ে এলেই, তার সংকেতে সঠিকভাবে কাজ করতে শুরু করে। রক্তের চিনি তখন আর বেড়ে থাকে না। অর্থাৎ ডায়বেটিস আর থাকে না। ওদিকে পার্শ্ব-উপকার হিসাবে অন্যান্য অসুখগুলোও সেরে যায় বা ঝুঁকি কমে যায়! 

অবশ্যই যারা ডায়বেটিস বা উচ্চ রক্ত চাপের জন্য ঔষধ খান, তাদেরকে ডাক্তারের অধীনে সতর্কভাবে এই পরিবর্তন করতে হবে। কিন্তু চিরকাল ডায়বেটিসে ভুগে দ্রুত মৃত্যুর দিকে ধেয়ে যাবার পরিবর্তে, এই উপায় অনেক সহজ, তাই না? 

তবে মনে রাখবেন যে, যদি আবার পুরানো অভ্যাসে ফিরে যান, তাহলে ডায়বেটিস এবং অন্যান্য রোগ গুলো অতিদ্রুত এসে আপনার আতিথ্য গ্রহণ করবে! সহজ কথায়, এই উপায়ে ডায়বেটিস কে ঘুম পারিয়ে রাখা যায় যতদিন খুশি। ইংরেজিতে একে বলা হয় 'Putting the disease into remission'. মাসে দু-মাসে যদি একদিন অনিয়ম করেন, তাহলে কিছু হয় না অবশ্য। অর্থাৎ বিয়ের দাওয়াতে গেলে, সেদিন মনের সাধ মিটিয়ে খেয়ে আসুন, অসুবিধে নেই। তবে প্রতি সপ্তাহে বিয়ে খেতে গেলে অবশ্য বিপদ!

আমরা স্বাস্থ্য রক্ষার এমনি সব অতি সহজ উপায় নিয়ে আমরা আপনাদের শিক্ষা দেই এবং সাথে আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেই। 

আগ্রহী হলে আমরা আপনার পারিবারিক পরিবেশে অথবা অফিসে এসে এই তথ্য গুলো শেখাতে পারি। যোগাযোগ করুন।